সকালের পাতা ডেস্ক : ১৮ ডিসেম্বার ২০২৪ ০৭:১৫ পি.এম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাঁধে ভর করেই কি চলছে ভোলার লালমোহনের বিএনপি? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য এসে পৌঁছেছে সকালের পাতা'র হাতে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ পরবর্তী বিশেষ করে লালমোহনে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বিএনপির দুর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া এসব নেতাকর্মীদের ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকে।
এতে দেখা যায়, বর্তমানে লালমোহন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ে যারা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন।
আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছিলেন লালমোহন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্তমান সভাপতি রেজাউর রহমান শাহীন, পৌরসভা বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন এমরান, বর্তমানের বিএনপি নেতা লালমোহন মোল্লা জামে মসজিদ ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক পাটোয়ারী, তার ছেলে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান সদস্য নোমান পাটোয়ারী, উপজেলা যুবদলের নেতা কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারী, তার ভাই হাসান পাটোয়ারী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন জসিম, ফতেহ আলী শান্ত, শ্রমিক দল নেতা ফোরকান, বিএনপি নেতা ও ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক হাওলাদার, শফিউল্লাহ হাওলাদার, ইউনুস হাওলাদারের ছেলে ও কেমিস্ট সমিতির নেতা কবির হাওলাদারসহ আরও অনেকে।
এদিকে আওয়ামী লীগে যোগদান না করলেও তাদের সাথে আঁতাত করা ও সুবিধা নিয়ে লালমোহনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। এদের মধ্যে অন্যতম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সোহেল আজিজ শাহীন। সূত্রে জানা যায়, তার বড় ভাই মরহুম এনায়েত কবির পাটোয়ারীর চিকিৎসার জন্য ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের এমপির বুকে মাথা গুঁজে শান্তনা নিয়ে পরবর্তীতে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন। চলবে......